সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

কাশবনের হাতছানিতে পদ্মাপাড়ে ভিড়, তুলছেন ছবি

দিনপঞ্জিতে শরত যাই যাই করছে। অথচ প্রকৃতিতে যেন শরতের শুরু। বিভিন্ন স্থানে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা হয়ে আছে। কাশফুল ফুটবে আর মানুষ সেদিকে ছুটবে না, তা কি হয়। রাজশাহী নগরের লালন শাহ মঞ্চের নিচে পদ্মার চরেও প্রতিদিন ভিড় করছে নানা বয়সের মানুষ। ১০ বছর বয়সী তানিয়ার হাতে একগোছা কাশ ফুল। সঙ্গে তার বাবা আসাদুজ্জামান। সামনে সামনে হাঁটছে তার মা। এই পরিবারটি থাকে রাজশাহী নগরের সাধুর মোড় এলাকায়। মেয়ে কাশবনে এসে ছবি তোলার বায়না ধরেছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, বিকেল পাঁচটার দিকে মেয়েটাকে নিয়ে এসেছিলেন। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও মেয়ে যেতে চাইছে না। সন্ধ্যার অপরূপ আলোয় তখন নদীর ধারের পুরো চর দুধের মতো সাদা হয়ে আছে। মাথাসমান উঁচু কাশবনে ছবি তুলছে তানিয়াসহ নানা বয়সের মানুষ। ফেরার সময় সবাই একগোছা কাশফুল ছিঁড়ে নিয়ে যাচ্ছে। যদিও ‘কাশবনে ফুল ছেঁড়া নিষেধ’ লেখা কাগজ টাঙিয়ে দেওয়া আছে। শিশুকন্যা গুণবতীকে নিয়ে কাশবনে এসেছেন স্কুলশিক্ষক সিরাজুম মুনিরা। বাড়ি গাইবান্ধায় হলেও স্বামীর চাকরির সুবাধে থাকেন রাজশাহী শহরে। মেয়েকে কাশফুল ছিঁড়ে হাতে দিয়েছেন। ছবি তুলছেন। ফুল ছিঁড়তে দেখেই একজন ফুচকা বিক্রেতা ছুটে এলেন। বললেন, ‘ফুল ছিঁড়বেন না। আপনারা ফুল ছিঁড়ে দেশের সম্পদ নষ্ট করছেন। এই ফুল দেখতেই নদীর ধারে মানুষ আসছেন। সেই সুবাদে আমাদের একটু বেচাবিক্রি হচ্ছে।’

Post a Comment

0 Comments